চকরিয়ায় ইউপি নির্বাচন...

দলীয় মনোনয়নে ব্যর্থ বিদ্রোহী প্রার্থীরাই এখন আ’লীগের গলার কাঁটা!

এ কে এম ইকবাল ফারুক,চকরিয়া :

আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চকরিয়া উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষদিন গত ২ নভেম্বর  চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৭৩ প্রার্থী।

এছাড়া সংরক্ষিত মেম্বার পদে ১৩৭ ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৮৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

৪ নভেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই বাচাইর দিন নির্বাচনী ফরমে তথ্যগত বিভ্রাট ও বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারনে চেয়ারম্যান পদে চারজন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে একজন ও সাধারণ সদস্য পদে সাতজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। যাচাই বাচাইকালে স্ব স্ব ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্ণিং কর্মকর্তাগন এসব প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। বর্তমানে ১০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত ১০জন প্রার্থী হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা ৫৯ জন। প্রতিটি ইউনিয়নেই রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। আবার তাদের মধ্যে অনেকে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হয়ে বিদ্রোহী প্রাথর্ী হয়েছেন। মুলত: এসব বিদ্রোহী প্রার্থীরাই এখন আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীদের গলার কঁাটা হয়ে দাড়িয়েছেন।

১০টি ইউনিয়নে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া বৈধ চেয়ারম্যান প্রাথর্ীরা হলেন বদরখালী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী নুরে হোছাইন আরিফ, স্বতন্ত্র প্রাথর্ী আবু নাঈম মো. হেফাজ সিকদার, বিএনপির আহসানুল কাদের চৌধুরী সাব্বির, জাকের আহমদ, আলী আকবর, মোহাম্মদ আলী, মিজানুর রহমান, শামসুদ্দিন, মো. নাছির উদ্দিন ও জসিম উদ্দিন।

পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ারুল আরিফ দুলাল (বিএনপি), আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ফারহানা আফরিন মুন্না, কামারুজ্জামান সোহেল, মো. আবদুল্লাহ, সাইফুল ইসলাম, ও সালাহ উদ্দিন। কৈয়ারবিল ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী জন্নাতুল বকেয়া রেখা, বর্তমান চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ, মোহাম্মদ জকরিয়া, আফজাল উর রহমান চৌধুরী, তৌহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ হিশাম উদ্দিন, আনিচুর রহমান জুয়েল ও আবদুর রহমান আবেদ।

সাহারবিল ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, জুনাইদুল হক, মোহাম্মদ খানে আলম, মাহমুদুল হাসান, আবদুল আলিম, নবী হোছাইন চৌধূরী ও আবু তৈয়ব। পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা, ওয়াহেদ ফয়েজ, মো.সামউনুল ইসলাম সুমন, এডভোকেট রবিউল এহেছান, ওয়াহেদ মুরাদ হেফাজতুর রহমান চৌধূরী টিপু, নুরুল বশর চৌধুরী বাচ্চু মিয়া ও নিয়ামত উল্লাহ। বিএমচর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউল আলম, স্বতন্ত্র বর্তমান চেয়ারম্যান এসএস জাহাংগীর আলম, নাছির উদ্দিন, মো.আবু তৈয়ব, মোহাম্মদ আলমগীর, মো.সোয়াইবুল ইসলাম, আরিফ মো. অলিউল্লাহ, ও মো.শামসুল হক (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ)।

ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী এস এম মঈনউদ্দিন আহমদ, বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল আলম জিকু (বিএনপি), কফিল উদ্দিন, মোহাম্মদ হোছনে মোবারক, মো. রিদুয়ান হাফিজ চৌধুরী, মো. সাইফুল ইসলাম, ফরিদুল আলম ও মোহাম্মদ হোছাইন। কোনাখালী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার (আ’লীগ), আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রাথর্ী জাফর আলম ছিদ্দিকী, সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কাদের মানিক (জাতীয় পার্টি), মো. নুরুল কবির, আনোয়ারুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইয়াছিন ও মোহাম্মদ আবদুল মাবুদ।

লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব বুলেট, বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার (জামায়াত), সাবেক চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মানিক (বিএনপি), সাইকুল ইসলাম (আ’লীগ) ও মোহাম্মদ ওসমান (আ’লীগ)। কাকারা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান শওকত ওসমান, স্বতন্ত্র প্রাথর্ী আওয়ামীলীগ নেতা সাহাব উদ্দিন ও মোহাম্মদ ইছমত-ই ইলাহী। আগামী ১১ নভেম্বর প্রাথর্ীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পরবতর্ী প্রতীক বরাদ্দ ও ২৮ নভেম্বর ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন করা হবে উপজেলার সাহারবিল ও লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে।